Spirulina
নির্দেশনা
স্পিরুলিনা অপুষ্টি জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, গেঁটেবাত, হাঁপানি, রক্তে অধিক গ্লুকোজ জনিত উপসর্গ, রক্ত স্বল্পতা, এলার্জিক রাইনাইটিস রােগের প্রতিরােধ ও চিকিসায় এবং রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। স্পিরুলিনা চোখ ও ত্বকের সুস্থতা অক্ষুন্ন রাখতে সাহায্য করে।
উপাদান
ভিটামিনঃ
- ভিটামিন এ (বেটা-ক্যারােটিন)
- ভিটামিন কে
- ভিটামিন বি১ (থায়ামিন)
- ভিটামিন বি২ (রিবােফ্ল্যাবিন)
- ভিটামিন বি৩ (নিকোটিনামাইড)
- ভিটামিন বি৬ (পাইরিডক্সিন)
- ভিটামিন বি১২ (সায়ানােকোবাল্যামিন)
মিনারেলঃ
- জিংক
- ম্যাগনেশিয়াম
- ক্যালসিয়াম
- আয়রণ
- ম্যাঙ্গানিজ
- সেলেনিয়াম
এন্টিঅক্সিডেন্ট ও রঞ্জক পদার্থঃ
- ক্লোরােফিল
- ফাইকোসায়ানিন
- ক্যারােটিনয়েডস
- জিয়াজানি
- সি-ফাইকোসায়ানিন
- সুপারঅক্সাইড ডিসমিউটেজ এনজাইম
গামা-লিনােলেনিক এসিড এর মত এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিডঃ স্পিরুলিনা বা ইহার সক্রিয় উপাদান, সি-ফাইকোসায়ানিন বিদ্যমান থাকায় এটি ক্যান্সার হৃদরােগ প্রতিরােধ, লিভার ও স্নায়ুর সুরক্ষা সহ প্রদাহরােধী, ভাইরাস বিরােধী এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়ার জন্য খুবই কার্যকরী। এছাড়া স্পিরুলিনা রাসায়নিক ও ওষুধ জনিত টক্সিন থেকে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করে।
বিবরণ
স্পিরুলিনা একটি অতি আণুবীক্ষনিক নীলাভ সবুজ শৈবাল। এর বৈজ্ঞানিক নাম আর্থ্রোস্পিরা প্ল্যাটেনসিস। এটি এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্য আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে জন্মে। স্পিরুলিনা আমিষ, শর্করা, লৌহ এবং ভিটামিনের অনন্য সমন্বয়ে গঠিত বলে একে পুষ্টির সর্বোচ্চ উৎস হিসাবে “সুপার ফু” বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাজারে প্রচলিত ভিটামিনের চেয়ে এতে অনেক বেশী ভিটামিন বিদ্যমান। এতে মাংসের চেয়ে দশ শুন বেশী এসেনশিয়াল ও নন-এসেনশিয়াল অ্যামাইনো এসিড এবং প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিনের মত শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
ফার্মাকোলজি
স্পিরুলিনা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বিশ্বের সর্বোচ্চ পুষ্টির উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ থাকে যা ক্যালরিমুক্ত। এছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণ বি-১২ ভিটামিন থাকে যা আমাদের সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। স্পিরুলিনা লৌহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা লোহিত রক্তকনিকা উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি যে নিজেই শুধু প্রোটিনের উৎস তা নয় বরং এর পুষ্টি উপাদান অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত আমিষকে শরীরের গ্রহণ উপযোগী করতে সাহায্য করে। স্পিরুলিনায় এসেনশিয়াল অ্যামাইনো এসিড থাকে যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। এসব অ্যামাইনো এসিড যেহেতু আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয় না তাই এদের বাইরে থেকেই খাদ্যের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়। স্পিরুলিনায় ১০০ টির মত পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। এতে ফ্যাটি এসিড থাকে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কিভাবে কাজ করে-
- স্পিরুলিনার ৬০ শতাংশই আমিষ যা আমাদের বেড়ে উঠার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। বিপুল পরিমাণ পুষ্টি আর সহজপ্রাচ্য যোগ্যতায় স্পিরুলিনা অপুষ্টি রোধে অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
- প্রতি ১০ গ্রাম স্পিরুলিনা আমাদের প্রতিদিনকার চাহিদা অনুযায়ী ৭০% লৌহ সরবরাহ করে। লৌহের পাশাপাশি এতে ম্যাগনেসিয়াম আর খনিজ উপাদান থাকাতে এটি আয়রন সাপ্লিমেন্টের চেয়ে রক্তশূন্যতা রোধে বহুগুণ বেশী কার্যকর।
- স্পিরুলিনা মাতৃদুগ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জি.এল.এ (গামা লিনোলেনিক এসিড) বিদ্যমান, যা শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
- এটি পেটের উপকারী ব্যাক্টেরিয়া সমূহকে বেড়ে উঠতে উৎসাহিত করে, যা আমাদের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে পেটের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
প্রতিদিন ২-৪ টি ক্যাপসুল সেব্য অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন‘
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এখনও তেমন কোন তথ্য জানা যায়নি।
প্রতিনির্দেশনা
স্পিরুলিনার কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা আছে এমন রােগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
স্পিরুলিনা সাধারণত সুসহনীয়। কদাচিৎ ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল উপসর্গাদি যেমন বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া খুব কম ক্ষেত্রে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে স্পিরুলিনা সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।
থেরাপিউটিক ক্লাস
Herbal and Nutraceuticals
সংরক্ষণ
ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। সরাসরি আলাে থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.